লেবেল

লেবেল

বুধবার, ১২ জুন, ২০১৩

পাঁচ বছর ধরে নিজের ঘরে বন্দি অর্ধনগ্ন যুবতী

                                            পাঁচ বছর ধরে নিজের ঘরে বন্দি অর্ধনগ্ন যুবতী


আর পাঁচটি তরুণীর মতোই ছিলেন হেমাবতী রেণুকাপ্পা। স্কুল-কলেজের পরীক্ষায় ভাল ফল করেছিলেন এই মেধাবী। বি কম-এ ভাল ফল করার পর ভাবলেন MBA করবেন। কিন্তু বাদ সাধলেন তাঁর বাবা। অত টাকা দিতে পারবেন না। বাধ্য হয়ে হেমাবতী শুরু করলেন CA পড়তে। সেইসঙ্গে একটি auditor's firm-এ ইন্টার্নশিপ
। কিন্তু সেটাও করতে দিলেন না তাঁর বাবা।

অভিযোগ,এরপর হেমাবতীকে বাড়ির একটি ঘরে বন্ধ করে রাখেন তিনি। এখান থেকে সোমবার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করেছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে তিনি ওই ঘরের বাইরে পা রাখেননি।

পুলিশ জানিয়েছে শুধু অন্তর্বাস পরা অবস্থায় হেমাবতী পড়ে ছিলেন মেঝের উপর। অর্ধনগ্ন ওই তরুণীর চুল শক্ত দড়ির মতো হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন তাতে তেল পড়েনি। হাতের নখ লম্বা হয়েছে প্রায় দু ইঞ্চি। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ৩৫ বছরের হেমাবতীকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন,হেমাবতীর বাবা অত্যন্ত কিপ্টে। ব্যাঙ্গালোরের অভিজাত মল্লেশ্বরম এলাকায় তাঁদের বাড়িতে দীর্ঘদিন কোনও সংস্কার হয়নি। এমনকী মেয়ের জন্য কোনও নার্স রাখতেও দেননি হেমাবতীর বাবা। মেয়ের হয়ে কথা বলতে গেলেই মারধর করেছেন স্ত্রীকে। বাড়িতে টি ভি অবধি ঢুকতে দেননি তিনি।

দীর্ঘদিন এরকম চলছিল। খিদের জ্বালায় চিৎকার করতেন হেমাবতী। সোমবার সেরকম চিৎকার করছিলেন তিনি। আর থাকতে না পেরে সংবাদমাধ্যম এবং পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রতিবেশীরা।

উদ্ধার করার পরে National Institute of Mental Health and Neuro Sciences-এ চিকিৎসা চলছে হেমাবতীর। পুলিশ জানিয়েছে তিনি একটু ধাতস্থ হলে তাঁকে জেরা করা হবে।

অন্যদিকে তাঁর বাড়ির লোকের দাবি,হেমাবতী স্নায়ুরোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাই তাঁকে বাড়িতে রাখা হত। পুলিশ জানিয়েছে এখনই তারা কোনও মামলা শুরু করছে না। হেমাবতীর সঙ্গে কথা বলার পর তারা তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে। দরকারে সুয়ো মোটো মামলাও শুরু করা হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন